শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিরে দেখা রাজনীতি

মোঃ খায়রুল কবির আবাদ 


আমি একটি বিদেশি কোম্পানির বাংলাদেশের এজেন্ট। এলিফেন্ট রোডে অফিস। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও সৎ নেতা মামা আবদুর রবের ( যিনি বা যে পরিবার রাজনীতি করতে গিয়ে সব সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়েছিল) এই অপমান আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। তাই মনে মনে এলাকার কোন উল্লেখযোগ্য মানুষ খোঁজ করতে ছিলাম। হঠাৎ মনে পড়ল রব মামা একবার আমাকে মেজর (অবঃ) রফিক সাহেবের বাড়ি হাজিগঞ্জ -শাহারাস্তি এলাকায় বলে জানিয়েছিল।
ইতিমধ্যে রফিক সাহেব শাহাবুদ্দিন সাহেবের প্রথম কেয়ারটেকার / তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসাবে সারা দেশে পরিচিত লাভ করেছিলেন এবং একজন বীর উত্তম, সেক্টর কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অনেক মানুষ উনাকে নামে চিনতেন। যদিও তার অনেক আগে থেকেই জিয়া সরকারের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে ওয়াসার, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ছিলেন। অবশ্য তিনি এরশাদের সাথে মতপার্থক্যের কারণে পদত্যাগ করেন। কিন্তু হাজিগঞ্জ – শাহারাস্তি এলাকায় আদি বাড়ি তা বলতে গেলে কেউই জানতো না কারণ উনাদের ( পিতা সরকারি চাকরিজীবি ছিলেন) এলাকায় যাওয়া আসা ছিল না। তাই ভালো মত খোঁজ নিতে বিভিন্ন জনকে অনুরোধ করলাম। একদিন মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন রতন ভাই এসে জানাল যে ঠিকানা পাওয়া গেছে। আমার অনুরোধে তিনি রফিক সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ এর বন্দোবস্ত করলেন।
ইসলাম গ্রুপের টয়োটা বিল্ডিং খ্যাত মতিঝিলের রফিক সাহেবের অফিসেরএকটি রুমে উনার অফিসে সাক্ষাৎ করলাম। বিভিন্ন আলাপ আলোচনা হলো। তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার আগ্রহের কথা ব্যক্ত করলেন। ভাবতে লাগলাম কি ভাবে উনাকে হাজিগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে নেয়া যায়। ঐতিহ্যবাহী হাজিগঞ্জ সবুজ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষক আমার মেঝ মামা জনাব আবদুর মান্নান বিএবিটি ইন্তেকালের পর আমার অনুপস্থিতিতে অন্য সবাই আমাকে সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পন করেন। তাই ভাবলাম সেই প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে একটি ভালো অনুষ্ঠানে উনাকে নেয়া যায় কিনা? অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলাপ করলাম যেন একটি রক্তদান কর্মসূচী (যা অতীতে কখনো হয়নি কিন্তু প্রয়োজন ছিল) করতে পারি। তখন এই ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন করেছিল নামকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজের “সন্ধানী “।
তাদের সাথে যোগাযোগ করে সব ব্যাবস্থা করলাম। রফিক সাহেবকে জিজ্ঞাসা করে উনার পরামর্শ মতো কবি শামছুর রহমান এবং আরেক সেক্টর কমান্ডার চাঁদপুরের কৃতি সন্তান মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল আবু ওসামান চৌধুরীকে দাওয়াত দিলাম। হাজিগঞ্জ পোষ্টার, মাইকিং এবং লিফলেটের মাধ্যমে বাজারের বালুর মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রচুর প্রচারণা চালালাম। উল্লেখযোগ্য যে সমস্ত খরচ আমি ব্যক্তিগত ভাবে বহণ করেছিলাম। রব মামার ছেলে মিঠু, রাজুকে উনাদের সহ সন্ধানীর ছেলে মেয়েদের নেয়ার গাড়ি বন্দোবস্ত করে আমি দুই দিন আগে হাজিগঞ্জ চলে গেলাম। আম্মা ( মরহুম আমিন মিয়ার বড় মেয়ে এবং রব সাহেবের বড় বোন) জীবিত ছিলেন উনাকে বললাম এবং সম্মত্তি নিলাম। আমাদের বাড়িতেই আম্মা সকল মেহমানের খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্ত করলেন। আমি হাজিগঞ্জ গিয়ে অবাক। কারণ ততকালীন আওয়ামী লীগ নেতারা সব ছিল বিশৃঙ্খল এবং দিগবিদিক শুন্য।
কারণ বিএনপি ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে নানাহ নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানির করতে থাকে। সঠিক নেতৃত্বের অভাবে দল অগোছালো অবস্থায়। আমাদের এই অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের ততকালীন একটি অংশ যারা ১৯৯১ সালে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল তারা ভিতরে ভিতরে সফল না হতে কাজ করতে লাগলো। আমি জনে জনে গিয়ে বুঝাতে লাগলাম যে রফিক সাহেব একজন মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার তাই উনি যা বলবেন তা আওয়ামী লীগের এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যাবে। কেউ বুঝে সায় দিল কেউবা ঐদিন কোর্টে তাদের হাজিরা আছে বলে অজুহাত দেখাল। আমি তাদেরকে হাজিরা দিয়ে এসে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অনুরোধ করলাম। এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে প্রচুর ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা কর্মী আমাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সহযোগিতা করলো। রক্তদান কর্ম সূচী হাজিগঞ্জে প্রথম হওয়ায় এবং সবুজ সংঘের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম, থানাব্যাপী প্রচার প্রচারণার ফলে জনগণের মধ্যে একটি আগ্রহ তৈরি হলো। যা ফলশ্রুতিতে সন্ধানী কর্তৃক আনিত ১৫০ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ হয়ে ব্যাগের অভাবে আর নেয়া গেল না। তারা একটি উপজেলায় এত ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ দেখে সত্যি অভিভূত হয়ে গেল। মসজিদের ইমাম, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র জনতা সহ সকল স্তরের মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেছিলেন যেমন অধ্যক্ষ মোতওয়াল্লী আলমগীর কবির, আবদুর রশীদ, রেজিষ্টি অফিস মসজিদের ঈমাম প্রমুখ যারা তখন উনার ভক্ত এবং মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। সবার জন্য হালকা নাস্তাসহ পানিয় রাখা হয়েছিল। দুপুরে ঢাকার অতিথিরা বাসায় আমার মায়ের হাতে রান্না খেয়ে খুশি হয়েছিলেন।
দুপুরের পরে শুরু হলো আলোচনা। যেখানে মূলত স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঘোষণা এবং মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা এবং তার পূর্বে ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা উনার হাতে পোঁছে বলে উল্লেখ করে বিস্তারিত বর্ননা করেছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠান ও আয়োজন চাঁদপুর জেলায় খুব প্রচার পেয়েছিল। চাঁদপুর থেকে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাজিগঞ্জের কাঠালি গ্রামের সন্তান মুকুল ভাইর নেতৃত্বে একটি সাংস্কৃতিক গ্রুপ উপস্থিত ছিলেন। সবুজ সংঘের সকল সদস্য অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন,যা অতুলনীয়। আমি তাদের এবং রক্তদাতা সহ উপস্থিত সকলের এত বছর পর আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ব্যক্তিগত ভাবে কারো নাম উল্লেখ করে আমি অন্যদের খাটো করতে চাই না। ঐ অনুষ্ঠানের কারণে এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলের মধ্যে এক নতুন জাগরণের সৃষ্টি করে। সরকারি দল দ্বারা হামলা মামলার স্বীকার সকলের মধ্যে আশার আলো দেখা দেয়। কারণ আবদুর রব সাহেবের পর যোগ্য নেতার অভাব সবাই টের পাচ্ছিলেন। যদিও জনাব কর্নেল অবঃ আবু ওসমান বীর উত্তম এবং মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম সাহেব বীর উত্তম দুই জন সেক্টর কমান্ডার চাঁদপুরের সন্তানের বক্তব্য সবার মনে ১৯৭১ সালকে মনে করিয়ে দিল। বক্তারা কেউই তখন পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দলে ছিলেন না। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দুইজন জীবন্ত কিংবদন্তী নিঃসন্দেহে বলা যায়।
কবি শামছুর রহমান অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। পরবর্তীতে এলাকার মানুষের চাহিদার কারণে মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম সাহেব উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবং সংগঠনের উদ্যোগে জনসভায় ভাষন দিয়েছিলেন। আমি নিজে যদিও অন্য কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারিনি কিন্ত আয়োজকদের পিছনে থেকে নানা রকম সাহায্য করেছি। প্রথম দিকে রফিক সাহেব কিছুদিন আমাদের বাড়িতে থাকতেন এবং গ্রামের সবুজ সংঘ ও ছাত্র লীগের ছেলেরা যেমন ভাতিজা খসরু, সাত্তার সহ অনেকেই ওনাকে রাতদিন খেদমত করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজনু, অধ্যাপক রতন, জাকির মিয়াজি, শিক্ষক মিজানুর রহমান (জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ ), মরহুম আব্দুল মালেক সৎ ত্যাগী সাবেক ছাত্র লীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রমূখ ছিলেন এদের অন্যতম।
এভাবে আস্তে আস্তে উনি পুরো সংসদীয় এলাকায় উনার প্রচার, পরিচিত ও জনপ্রিয়তা তৈরী হয়। সাড়া দেখে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক মুক্তিযুদ্ধের, বঙ্গবন্ধুর, তথা মেহনতি মানুষের দল আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করতে থাকেন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিচার প্রতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নমিনেশন ঘোষণার ২/৩ দিন পূর্বে রফিক সাহেব আমাকে জেনারেল নুরুদ্দিন সহ আওয়ামী লীগে যোগদানের কথা নিশ্চিত করলেন।
ইতিমধ্যে ঢাকাস্থ হাজিগঞ্জ শাহারাস্তির অনেক মানুষ উনার সমর্থনে এগিয়ে আসলেন। আমি কয়েকবার উনাকে সহ মতিঝিল সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, আখতারুজ্জামান মঞ্জু, আশ্রাফ উদ্দিন পাটোয়ারী দুলাল প্রমুখ একসাথে সামনে নির্বাচনে কি ভাবে কাজ করা যায় তা আলাপ আলোচনা করি। নমিনেশন দেয়া ঘোষণা হলে আমি হাজিগঞ্জ পৌরসভার বলাখাল কেন্দ্র ব্যতীত সকল কেন্দ্র সহ আরো কিছু এলাকার নির্বাচনী খরচ বহন করি। তেমনি ভাবে সিরাজ, মঞ্জু, দুলাল ভাইরা ভিন্ন ভিন্ন এলাকার খরচ বহন করেন। আমার বন্ধু সরকারি বিসিএস (কাষ্টম) ক্যাডার গোলাম হোসেন ( সাবেক সচিব) কচুয়া ও আবদুল মান্নান পাটোয়ারী ( সাবেক সদস্য ভ্যাট, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) শাহারাস্তি, নিয়ে রফিক সাহেবের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। উনারা দুইজন নির্বাচনে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। মনে পড়ে শাহারাস্তির জনাব মান্নান বিএসসি, কর্নেল অবঃ দেলোয়ার, মশু, মিন্টু প্রমুখের। এভাবে পুরো সংসদীয় এলাকায় রফিক সাহেবের নির্বাচন খরচ এলাকার বিভিন্ন মানুষ বহন করে। এখানে উল্লেখ্য যে ততকালীন ছাত্র লীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের কোনো নেতা হাত খরচ, নাস্তা ইত্যাদি বাবদ একটি টাকাও আমার থেকে নেননি। এমনকি আমার গ্রামের দুটি কেন্দ্র (তখনকার সময়) খরচ, কর্মীদের খরচ কিছুই লাগেনি। বন্ধু দীলিপ বাবু বরং নির্বাচন সন্ধ্যায় অনেক টাকা আমাকে ফেরত দিয়েছিলেন। বড় ভাই ইকবালুজ্জামান ফারুক যিনি সকল নির্বাচনে বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্ব নিয়ে দলের প্রতি উনার আন্তরিকতা প্রমাণ রেখেছেন বার বার। উনি, বন্ধু দীলিপ, সিরাজুল হক লাভু প্রমুখের দলের প্রতি নিষ্ঠা, সততা, আন্তরিকতার সহিত পরিশ্রম সত্যি অতুলনীয়।
একটি কথা আরো উল্লেখ করতে হয় খলিল ব্যাপারি সাহেবের ছেলে মরহুম সাত্তার ভাই, মনোয়ার ভাই, নদীর দক্ষিণ পাড়ে প্রচুর খেটেছেন। সাত্তার ভাই সন্ধ্যা বেলা আমার বাড়িতে এসে অনেক টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। ছাত্র লীগ, যুব লীগ এমনকি আওয়ামী লীগের বলতে গেলে সবাই নিজের বাসায় খেয়ে, টাকা খরচ করে খেটেছেন। আমি ছেলেদের নাস্তা খাওয়ার জন্য টাকা সাধলে তারা সবিনয়ে না নিয়ে বললো ভাই বাসায় গিয়ে খেয়ে আসব। আজ এসব নিবেদিত কর্মীদের কথা মনে হলে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় এই জন্য যে তাদের উপকারে লাগতে পারিনি। শুধুমাত্র প্রচার প্রচারণা সহ আনুষঙ্গিক খরচ চালাতে হয়েছে যা বর্তমান সময়ের তুলনায় নগন্য মাত্র। বিষয়টি আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। এরকম আজকাল ভাবাই যায় না।
সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রফিক সাহেব আমাকে উনার নির্বাচনী এজেন্ট হতে অনুরোধ করেন। কিন্তু যেহেতু আমি এলাকায় থাকতাম না এবং প্রশাসানিক পর্যায়ে আমি পরিচিত ছিলাম না তাই ততকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান বন্ধু আবদুর রশিদকে করতে এবং হতে অনুরোধ করি। প্রথমে রাজি না হলেও পরে সে উক্ত দায়িত্ব পালনে সম্মতি দেন। ১৯৭৯, ১৯৮৬ এবং ১৯৯১ সালের পর এই একটি নির্বাচনে আমি বেশি জড়িত হয়ে পড়েছিলাম। সক্রিয় রাজনীতিতে না থাকলেও এদেশের সাধারণ মানুষ সহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করা নেতা কর্মী উৎসাহ ত্যাগ দেখে সত্যি আমি অভিভূত। এসকল কর্মীরা নিজেদের ফসল, ঘরের গরু, ছাগল এমনকি স্ত্রীর গহনা পর্যন্ত বিক্রি করে দলের জন্য, প্রার্থীর জন্য, প্রতীক নৌকার জন্য সর্বোচ্চ দিতে পারেন। অথচ বিনিময়ে কিছুই চায়নি শুধু একটু ভালবাসা, অভাব মুক্ত বাংলাদেশ। তাও আমরা দিতে পারিনি। আজকের এই লেখার মাধ্যমে আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞচিত্তে নতজানু হয়ে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া কিছুই করার নেই।
চতুর্থ পর্ব……… আসছে

Comments are closed.

More News Of This Category